করোনার প্রভাবে দুই বছরে দেশে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। আর গত তিন মাসে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০০ টাকা। এ সময় তরল দুধের দামও ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার স্থবিরতা, গো খাদ্য আর পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়েছে। উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা দূর করতে না পারলে, দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন বলে জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ অধিদফতর।
তথ্য মতে, দেশে প্রতিদিন মাথাপিছু দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটার হলেও প্রাপ্যতা ১৯৪ মিলিলিটার। প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে বছরে ১৫৪ লাখ মেট্রিক টন দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ১২০ লাখ মেট্রিক টন।
বাকী ৩৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়। এদিকে করোনার শুরু থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যটির দাম বেড়েই চলেছে। দু’বছর আগে যে দুধের দাম ছিলো কেজি প্রতি সাড়ে ৪০০ টাকা, এখন তার দাম ৭০০ টাকা ছুঁই ছঁই। গত তিম মাসেই দাম বেড়েছে ১০০ টাকা।
এরইমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটাও দুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, চাহিদা মেটাতে দেশে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।